গবেষক মুহাম্মদ আবূ তালিবের এ গ্রন্থে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার প্রকৃত মূলধারাকে চিহ্নিত করেছেন। ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে পৌত্তলিকতার ভেড়িবাঁধ নির্মিত হয়েছে। যুগে যুগে এবং একত্ববাদী মূল গ্রোতকে ঘোলাটে করতে ব্রাহ্মণ্য চিন্তা-চেতনার আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারই ইঙ্গিত এই গ্রন্থের পরতে পরতে।
এ গ্রন্থে লেখক কবিজীবনে দুঃখ-কষ্টের নানা দিক তুলে ধরেছেন। কবিজীবনের কষ্টের এমন অজানা বিষয় রয়েছে, যা পাঠককে ভাবাবেগে আপ্লুত না করে পারে না। আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম অধিকার বঞ্চিত ছিলেন সবসময়। জীবনসায়াহ্নে এসে কবি নানাভাবে পীড়িত হয়েছেন। গ্রন্থের পরতে পরতে কবির জীবনের ট্র্যাজিডি ফুটে উঠেছে।
মুসলিম শাসনামলে বাংলা ভাষার নবজন্ম ঘটে, বাংলা সাহিত্যের চর্চা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সাহিত্য যে ঐতিহাসিক বাস্তবতার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ধারণ করে এক স্বাধীন জাতি ও সমৃদ্ধ সাহিত্যের উত্তরাধিকারিত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তারই নানান প্রয়াস এ গ্রন্থে নিহিত রয়েছে।
ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
এ গ্রন্থে লেখক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করেছেন এ ভূখন্ডের অতীত ইতিহাসের গভীরে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐহিত্যের প্রবহমান মূলধারায় তিনি নির্দেশ করেছেন বাংলাদেশের উৎসস্থলকে। বাঙালির ইতিহাস নিয়ে আজও অনুসন্ধিৎসার বিরাম নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ প্রচেষ্টা আশাপ্রদভাবে ক্রমবর্ধমানতার প্রয়াস এই গ্রন্থে নিহিত।
নাট্য আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরানো। কেউ কেউ দাবি করছে ১৯৭১-এর পর এদেশে নাটকের জন্ম। ১৯৫০ সাল থেকে ঢাকার মঞ্চ ও বেতারে নাটকের ব্যাপক প্রচলন ছিল। সে সময় থেকে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সন-তারিখ তুলে ধরে ‘বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে ইতিহাস’ বইটি রচিত হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.