পরিচিতি

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) মরহুম নিয়াজ মোহাম্মদ খান (এন এম খান) বিগত ৩১ আগস্ট ১৯৪৯ সনে সৃজনশীল বই প্রকাশ, দুষ্প্রাপ্য বই ও শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ, গ্রন্থ মুদ্রণ ও বিপণনের মাধ্যমে মানুষের নিকট জ্ঞান বিতরণ করে আমাদের জাতিসত্তা ও মননের বিকাশ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমবায় অধিদপ্তরে নিবন্ধিত ১,৮৯,৩৭০টি প্রাইমারি সমবায় সমিতির মধ্যে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি একটি প্রাইমারি সোসাইটি হলেও বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ স্বীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কো-অপারেটিভ সোসাইটির মর্যাদাসম্পন্ন একটি প্রতিষ্ঠানে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ সারা বাংলাদেশে নিবন্ধিত কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলোর মধ্যে একমাত্র কো-অপারেটিভ সোসাইটি; যা জনগণের মধ্যে জ্ঞান বিতরণ ও সৃজনশীল মনন বিকাশে প্রকাশনা শিল্প এবং পুস্তক প্রকাশনা ও বিতরণের সাথে জড়িত। আরও উল্লেখ্য যে, সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত ২০১৪ সালের ডায়েরিতে সারা দেশের উল্লেখযোগ্য ১২টি শীর্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ সমবায় সমিতির মধ্যে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি অন্যতম শীর্ষস্থানের গৌরবের অধিকারী। জাতির আত্মজিজ্ঞাসা ও আত্মানুসন্ধান বিকাশের লক্ষ্যে সোসাইটির জন্মলগ্ন থেকে বর্তমান পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, উপন্যাস-ঐতিহাসিক ও সামাজিক, ছোটগল্প, সমাজ, দর্শন, রাষ্ট্র, ইতিহাস, গবেষণা, ধর্মীয়, রম্যরচনা, রাজনৈতিক, ভ্রমণ, শিশুতোষ, কবিতা, নাটিকা, আইন, বীমা, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে সৃজনশীল বই প্রকাশ করে আসছে।

সোসাইটির সম্মানিত পরিচালকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সোসাইটির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় সোসাইটি বর্তমানে সমবায় জগতে স্বীকৃত একটি অনন্য সমবায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত ও জাতীয়ভাবে স্বীকৃত।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সুচারুরূপে সুনামের সাথে অব্যাহত গতিতে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। পরবর্তী পর্যায়ে নানা রকম সংকটে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। এইরূপ পরিস্থিতিতে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়-দেনায় সোসাইটি জর্জরিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পরিচালনা পরিষদের গতিশীল নেতৃত্ব ও গঠনমূলক পরিকল্পনায় সোসাইটির বিরাট অংকের দায়-দেনা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা আনয়ন করতে সক্ষম হয়। ফলে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। উন্নয়নের অব্যাহত গতিতে সোসাইটি বর্তমানে ডিজিটাল জগতের উপযোগী এক নতুন মাত্রায় সমুপস্থিত। বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ডিজি, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, গবেষক, সু-লেখক ও ইসলামী চিন্তাবিদ আ.জ.ম. শামসুল আলম বর্তমানে সোসাইটির সভাপতি। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে।

সোসাইটির প্রোফাইল

প্রতিষ্ঠাকাল :
নিবন্ধন নং :
রেজিস্টার্ড অফিস :
অনুমোদিত মূলধন :
পরিশোধিত মূলধন :
সঞ্চয় আমানত :
সর্বশেষ বছরে নীট লাভ :
শেয়ার বিনিয়োগ :
শেয়ারহোল্ডার সংখ্যা :
সর্বশেষ এজিএম :
সর্বশেষ নির্বাচন :
প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা :
কার্যক্রম এলাকা :

৩১ আগস্ট, ১৯৪৯
১৭১ সি
৯২২ জুবিলি রোড, চট্টগ্রাম-৪০০০
৫,০০,০০,০০০.০০
১২,৮৭,০০০.০০
৩৪,০৬,০৩৬.০৫
১,৪৯,৭০,৬৯৬.০০
৬,১০০.০০
১২৮৭
৪ ডিসেম্বর ২০২০
২ মে ২০০৩
২৭৫
সমগ্র বাংলাদেশ

প্রধান কার্যালয়

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ এর প্রধান কার্যালয় ৯২২ জুবিলী রোড, চট্টগ্রামে অবস্থিত। ভবনটি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম নিয়াজ মোহাম্মদ খানের নাম অনুযায়ী নিয়াজ মঞ্জিল নামে পরিচিত। এখানে সোসাইটির প্রকাশিত বইসমূহ প্রদর্শন ও বিপণন কেন্দ্র এবং প্রধান কার্যালয় হিসাবে যাবতীয় কর্মতৎপরতা পরিচালিত হয়ে থাকে। ভবনটির নীচতলা, দ্বিতীয় তলায় অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান সহ অফিস, দোকান ইত্যাদি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া প্রদান করা হয়েছে। তৃতীয় তলায় প্রধান কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ৪র্থ তলা নির্মানপূর্বক ৩৩টি রুম যার পরিমাণ (কম বেশি) ২০,৩০০ বর্গফুট অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে।

মতিঝিল কার্যালয়

রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত বুক সোসাইটি ভবনেই সোসাইটির মতিঝিল কার্যালয়। এখান থেকে সোসাইটির প্রকাশিত বইসমূহ প্রদর্শন, বিপণন কেন্দ্র ও বইয়ের কেন্দ্রীয় গোডাউন এবং ঢাকা কার্যালয়ের যাবতীয় কর্মতৎপরতা পরিচালিত হয়ে থাকে। ভবনটির ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ তলায় ৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভাড়া প্রদান করা হয়েছে। ৪র্থ তলায় একাংশে সোসাইটির মতিঝিল কার্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ভবনের একাংশ নীচ তলার সোসাইটির প্রেস, বই প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

লিফ্ট স্থাপন

সোসাইটির ঢাকাস্থ বুক সোসাইটি ভবনে লিফ্ট চালু হয়েছে। ভবনে সম্মানিত ভাড়াটিয়াদের কাস্টমার সার্ভিসের সেবা বৃদ্ধি হয়েছে ফলে দালান ভাড়াও বৃদ্ধি করা হয়েছে তবে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রার্দুভাবে ভাড়াটিয়াদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিন্ধান্তানুযায়ী কয়েক মাসের ভাড়া কমানো হয়েছে তবে পরিস্থিতির আলোকে পূর্বের ভাড়ায় ভাড়া আদায়ের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লিফ্ট স্থাপনের ফলে সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। অর্থাৎ এদেশের মাটি ও মানুষের কথা সম্বলিত বই প্রকাশের জন্য দেশের স্বনামধন্য গুণীজনের তথা সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, কবি, অনুবাদকদেরকে সোসাইটিতে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক।

প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি একটি প্রাইমারি কো-অপারেটিভ সোসাইটি। বর্তমানে প্রাইমারি সোসাইটির সংখ্যা প্রায় ১,৮৯,৩৭০। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ হলো  কো-অপারেটিভ সোসাইটি গুলোর মধ্যে একমাত্র প্রকাশনা শিল্প। সোসাইটির মতিঝিল ভবনে প্রকাশিত বইয়ের কেন্দ্রীয় গোডাউন। পরিচালনা পরিষদের সভায় আলোচনার মাধ্যমে মতিঝিল ভবনের প্রধান ফটকে প্রকাশিত বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিসেম্বর মাসব্যাপী ৫০% ছাড়ে বইয়ের ৫টি প্যাকেজ ও বুক সোসাইটিরঅন্যান্য সকল বইয়ের উপর ৪৫% ছাড়ে বই বিক্রয় হচ্ছে। ভবনে অবস্থিত ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অফিস খোলার দিনে অনেক সুধীজন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের গ্রাহকগণ আসেন। ফলে সোসাইটির প্রকাশিত বইয়ের প্রচারসহ ক্রেতা সাধারণের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে এবং বই বিক্রয় বৃদ্ধি হবে ইনশাআল্লাহ।

গোডাউন

সোসাইটির নিজস্ব প্রকাশিত বই সমূহ সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে ভবনের চতুর্থ তলায় স্টীল র‌্যাক স্থাপনসহ গোডাউন স্থাপন করা হয়েছে।

টাওয়ার ভাড়া

সোসাইটির আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভবনের ছাদে বাংলালিংক টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সোসাইটির বার্ষিক আয় ৪,১৪,০০০/- টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রেস বিভাগ

১২৫ মতিঝিলস্থ বুক সোসাইটি ভবনের নীচ তলায় সোসাইটির ঐতিহ্যবাহী প্রেস বিভাগ অবস্থিত। প্রেস শাখাটি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সকল মুদ্রণ কাজসহ সোসাইটির নিজস্ব প্রকাশনার মুদ্রণ কাজ করা হয়। নতুন মেশিন ক্রয়ের মাধ্যমে প্রেসকে আধুনিকায়ন করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নিউমার্কেট বিক্রয় কেন্দ্র

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী নিউমার্কেট প্রতিষ্ঠাকাল হতেই ১৫০-১৫১-১৫২ তিনটি সোসাইটির বিক্রয় কেন্দ্র। বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক, কবি, গবেষক, শিশু-সাহিত্যিকদের রচিত সোসাইটির প্রকাশিত বই বিক্রির সাথে অন্যান্য প্রকাশনাসহ বিদেশি বই বিক্রি করা হয়। এই বিক্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন পাঠক, প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাসহ সাধারণ ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। এই বিক্রয় কেন্দ্রে বই বিক্রির পাশাপাশি শিক্ষা সামগ্রী বিক্রয়ের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এবং ডকুমেন্টারি সিডি/ ডিভিডি/ ভিসিডি/ অডিও ইত্যাদি সুলভ মুল্যে বিক্রয় করা হয়।

বাংলাবাজার বিক্রয়কেন্দ্র

ঐতিহ্যবাহী সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থা হওয়ায় দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি বইয়ের মার্কেট বাংলাবাজারে সোসাইটির একটি পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রে সোসাইটির প্রকাশিত বই ছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনার সহ¯্রাধিক আইটেমের বই রয়েছে। সারাদেশ হতে পুস্তক ব্যবসায়ীরা বই সংগ্রহ করে থাকেন। কোভিড-১৯ এর কারণে আন্তর্জাতিকভাবে তথা দেশে বই বিক্রয়ের পরিমাণ অনেকখানি হ্রাস হয়েছে।

৭.  সোসাইটির কার্যক্রম প্রকাশনা

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ একটি সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয় বরং বই প্রকাশ, বিপণন, দুষ্প্রাপ্য বইসহ শিক্ষা বিস্তারের উপকরণ আমদানি ও বিতরণের মাধ্যমে জাতির মনন ও মেধা বিকাশই হচ্ছে সোসাইটির মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। সুষ্ঠু নীতিমালার আলোকে নতুন বই প্রকাশ করা হয়। সোসাইটির বর্তমান প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ২৭৫টি। বর্তমানে আরো ৩০টি পা-ুলিপি/বই প্রকাশের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

সমবায় উন্নয়ন তহবিল

২০১৮-২০১৯ সালে সোসাইটির পক্ষ থেকে সমবায় বিধি ও আইন অনুযায়ী বার্ষিক লভ্যাংশের ৩% হারে সমবায় উন্নয়ন তহবিল-এ ৪,৩৩,৪৭১/- টাকা যথাসময় জমা করা হয়।

সরকারের আয়কর বিভাগে কর

২০১৯-২০২০ সালে প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রাম থেকে ৩,৫৫,৭২০/- টাকা এবং ঢাকাস্থ মতিঝিল কার্যালয় থেকে ১২,০৯,৭৭২ টাকা সহ সর্বমোট মোট ১৫,৬৫,৪৯২/- (পনেরো লক্ষ পঁয়ষট্টি হাজার চারশত বিরানব্বই) টাকা আয়কর বিভাগে যথাসময়ে পরিশোধ করা হয়।

এককালীন সাহায্য

সোসাইটির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রাম ৭৭,৫০০/- ও মতিঝিল কার্যালয় ৮৯,০০০/- এর উদ্যোগে স্থানীয় শেয়ারহোল্ডার ও সমস্যাগ্রস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চিকিৎসা, শিক্ষা, কন্যাদায়গ্রস্থসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এককালীন সাহায্য বাবদ সর্বমোট ১,৬৬,৫০০/- টাকা প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৌজন্য হিসেবে সর্বমোট ২২,০০৫/-টাকার সোসাইটির নিজস্ব প্রকাশিত বই প্রদান করা হয়।

ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান ও পদক প্রবর্তন

শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সোসাইটির কর্মকর্তা/কর্মচারী ও শেয়ারহোল্ডাদের সন্তান এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। ২০১৯-২০২০ সনে সর্বমোট ২,৫০,৫৬৫/- টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা নিয়াজ মোহাম্মদ খান এর নামে দেশের বিশিষ্ট কবি, লেখক, সাহিত্যিকদের মাঝে পদক প্রবর্তন ও বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

বই বিপণন

সোসাইটির প্রকাশিত বিশিষ্ট লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক, শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত বই বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মার্কেটিং করা হয়। সোসাইটির প্রকাশিত বইসমূহ বিক্রয় প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা ও থানায় বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বিক্রয় করা হয়। বইমেলায় নিয়মিত স্টল দিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা নেয়া হয়। বই বিক্রি বৃদ্ধির জন্য জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা ও সাময়িকীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বইয়ের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-এ বই প্রদর্শনীসহ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া দরপত্রে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বই সরবরাহ করা হয়। সোসাইটির প্রকাশিত ৮৬টি বই স্কুল ও কিন্ডারগার্ডেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্য করা হয়েছে।

বিভিন্ন বইমেলায় বই প্রদর্শন, মোড়ক উন্মোচন, প্রকাশনা উৎসব ছাড়াও রাজধানী শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখে বই প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ও লাইব্রেরিয়ানদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বই বিপণনের ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বৎসরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবস পালন উপলক্ষে বিশেষ কমিশনে বই ক্রয় করে থাকে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে সোসাইটির বই বিপণনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও

বাংলা একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা

সোসাইটি প্রতি বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। এ ছাড়া মেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চে সোসাইটির প্রকাশিত ১৩টি নতুন বইয়ের ‘মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান’ দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক, লেখকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে বইমেলার আয়োজন করে থাকে। আন্তর্জাতিক বইমেলা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক বইমেলায় সোসাইটি নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। মেলায় সোসাইটির স্টলে পাঠক/ ক্রেতাদের আগমন বিগত বছরের তুলনায় বেশি লক্ষ্য করা যায়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত বইমেলা

সোসাইটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত বায়তুল মোকাররম মসজিদ দক্ষিণ চত্বরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) এবং পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষে সকল বইমেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছে। এ মেলাগুলোতেও দেশের সকল পাঠকের নিকট সোসাইটির প্রকাশিত বই ক্রয়ের আগ্রহ পূর্বের চেয়ে অনেক খানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন

৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সমবায় র‌্যালীতে সোসাইটির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপক জনাব মোঃ রফিক সহ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।

বার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০

বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ এর ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের কার্যক্রম মূল্যায়নের আলোচনাসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নে সোসাইটির ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা ৪ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে সোসাইটির বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সোসাইটির সহ-সভাপতি জনাব আমির হোছাইন।