এ গ্রন্থে লেখক কবিজীবনে দুঃখ-কষ্টের নানা দিক তুলে ধরেছেন। কবিজীবনের কষ্টের এমন অজানা বিষয় রয়েছে, যা পাঠককে ভাবাবেগে আপ্লুত না করে পারে না। আমাদের প্রাণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম অধিকার বঞ্চিত ছিলেন সবসময়। জীবনসায়াহ্নে এসে কবি নানাভাবে পীড়িত হয়েছেন। গ্রন্থের পরতে পরতে কবির জীবনের ট্র্যাজিডি ফুটে উঠেছে।
ভাষা আন্দোলন বাঙালি তথা বাংলা ভাষাভাষি সম্প্রদায়ের জীবনে জাতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ মহান আন্দোলনের বস্তুনিষ্ঠ সচিত্র দলিলপত্রসহ ধারাবাহিক ইতিহাস আমাদের সামনে নেই। ১৯৪৭ সাল থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চরম পরিণতি লাভ করে। আর এই পরিণতি আত্মত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল।
এ আন্দোলনে বস্তুনিষ্ঠ ধারাবাহিক ইতিহাসের উপকরণ সংগ্রহের জন্য জনাব মোস্তফা কামাল দীর্ঘদিন এ আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ভাষা সৈনিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার 'ঢাকা ডাইজেস্ট'-এ সিরিজ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার সময় সাক্ষাৎকারগুলো পাঠক ও বুদ্ধিজীবী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইতিহাসের অনুরাগী অনেক অনুসন্ধিৎসু পাঠক ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের এ সাক্ষাৎকার সংগ্রহের কাজকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের অন্বেষায় 'গ্রাউন্ড ওয়ার্ক' হিসেবে উৎসাহিত করেছেন।
এসব সাক্ষাৎকার 'ভাষা আন্দোলন: সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন' গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের অনেক বিভ্রান্তি ও কাল্পনিক তথ্যের অবসান ঘটিয়ে সঠিক ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। (নোট প্রকাশকের কথা)
৪৭-৫২ সময়ের ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও সংগ্রামী ভাষাসৈনিকদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ গ্রন্থে ভাষা আন্দোলনের অনেক বিভ্রান্তি ও কাল্পনিক তথ্যের অবসান ঘটিয়ে সঠিক ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসের অনুরাগী অনুসন্ধিৎসু পাঠক ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস এ গ্রন্থ থেকে অন্বেষণ করতে পারবে।
এ গ্রন্থে লেখক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করেছেন এ ভূখন্ডের অতীত ইতিহাসের গভীরে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐহিত্যের প্রবহমান মূলধারায় তিনি নির্দেশ করেছেন বাংলাদেশের উৎসস্থলকে। বাঙালির ইতিহাস নিয়ে আজও অনুসন্ধিৎসার বিরাম নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ প্রচেষ্টা আশাপ্রদভাবে ক্রমবর্ধমানতার প্রয়াস এই গ্রন্থে নিহিত।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজাতির উপাখ্যান বোঝার ও জানার জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ এটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়্যাল, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, উপজাতি পরিচিত, এনজিও এবং মিশনারি সেবা ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ গ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
ঢাকার নওয়ার পরিবার তথা খাজা পরিবারের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব খাজা শামসুল হক ও খাজা মওদুদ এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন কাজী আবদুল কাইউমের লেখা বিভিন্ন সময়ের দিনপঞ্জি এবং ডায়েরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রন্থে ১৯০৪ থেকে ১৯৩০ সালে ঘটনাবলির মাধ্যমে তৎকালীন ঢাকার সমাজ ও সংস্কৃতি বিশদভাবে রচিত হয়েছে।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
Reviews
There are no reviews yet.