গবেষক মুহাম্মদ আবূ তালিবের এ গ্রন্থে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার প্রকৃত মূলধারাকে চিহ্নিত করেছেন। ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে পৌত্তলিকতার ভেড়িবাঁধ নির্মিত হয়েছে। যুগে যুগে এবং একত্ববাদী মূল গ্রোতকে ঘোলাটে করতে ব্রাহ্মণ্য চিন্তা-চেতনার আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারই ইঙ্গিত এই গ্রন্থের পরতে পরতে।
স্বাধীন হায়দারাবাদ হারিয়ে যাওয়া কোনো অতীত নয়। হায়দারাবাদ আমাদের জন্য জীবন্ত ইশতেহার ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। হায়দারাবাদের করুণ পরিণতি আমাদের অনেক কিছু ইঙ্গিত করে। প্রায় ৭০ বছর পরও হায়দারাবাদের ইতিহাস আমাদের সামনে এখনো প্রাসঙ্গিক।
ঢাকার নওয়ার পরিবার তথা খাজা পরিবারের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব খাজা শামসুল হক ও খাজা মওদুদ এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন কাজী আবদুল কাইউমের লেখা বিভিন্ন সময়ের দিনপঞ্জি এবং ডায়েরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রন্থে ১৯০৪ থেকে ১৯৩০ সালে ঘটনাবলির মাধ্যমে তৎকালীন ঢাকার সমাজ ও সংস্কৃতি বিশদভাবে রচিত হয়েছে।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল নজরুল-রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এখন বইছে প্রচন্ড বৈরী বাতাস। এই বিষাক্ত বৈরী বাতাসে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে। জনমনে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। জাতির বিভ্রান্তি নিরসনে এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর তাড়না থেকে এ গ্রন্থের অবতারণা।
ইসলামী মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিজাতীয় দর্শন অনুকরণ-অনুসরণে বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে মুসলিমরা। এমনই অসহনীয় পরিণতি থেকে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে যারা অবিরাম প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের একজন মোঃ এনামুল হক। মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উন্মাতাল হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর জন্যই এই গ্রন্থের অবতারণা।
Reviews
There are no reviews yet.