বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই প্রথম ঘোষিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। সেসময় চট্টগ্রামের যে টালমাটাল অবস্থা লেখক আবলোকন করেছেন সেই তাগিদ থেকেই লেখককে কলম ধরতে হয়েছে। সেই সব ঘটনাগুলো লেখকের ভেতরকার সুপ্ত পাগল মনটাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সেদিনের সেই কলম ধরারই পূর্ণপরিণতি বা পরিপূর্ণ ফসল।
এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের পতনের রূপরেখা অংকন করেছেন। পাশাপাশি খারেযাম শাহী সালতানাতের শেষ দিনগুলোর বাস্তব চিত্র এঁকেছেন। পরামর্শ ও সুবুদ্ধি অপেক্ষা রাজাদের ব্যক্তিগত খোশখেয়াল, রাজকীয় মর্জি এবং ভুল সিদ্ধান্ত একটি শক্তিশালী সালতানাত ধ্বংস করে দিতে পারে। তারই বাস্তব ইতিহাস 'শেষ প্রান্তর' উপন্যাস।
এই উপন্যাসে পাঠক অনুভব করে থাকবেন নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক প্রেম এবং পুরুষপরমের মানবিক হৃদয়লীলা। অন্তহীন নারী এবং অন্তহীন পুরুষের রূপক ফল্লবী ও আনন্দের দ্বন্দ্বে। এ দন্দ্বের মিলনের, এ দ্বন্দ্ব বিচ্ছেদের। আল মাহমুদের শব্দ, বাক্য ও গল্পের গাঁথুনিতে এ দ্বন্দ্ব হয়ে উঠেছে একসাথে নৈকট্যের ও দূরত্বের। এভাবেই দ্বৈর্থ টানাপোড়নে গল্প এগিয়ে চলে...
কারবালা প্রান্তররে বিয়োগান্তক ঘটনাপরর্বতী সময়রে উপাখ্যান এই উপন্যাসরে মূল বিষয়বস্তু। এই উপন্যাসরে একটা মূল আবগে আছে মিথিলি বিন্যাস্ত প্লটকে একীকরণরে চেষ্টা আছে এবং সমগ্র আখ্যানকে একটা পরণিতি দেবার সজ্ঞান প্রচষ্টোও আছে । এতে প্রথম থেকে শেষে র্পযন্ত মানবজীবনের এই অদৃষ্টলাঞ্চিত মূর্তির আলেখ্য পুরস্কারের এই শোচনীয় পরিনামের কাহিনি ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.