ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানতাত্ত্বিক ও মতাদর্শভিত্তিক জ্ঞানশৃঙ্খলার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যেই আল কোরআনের আবির্ভাব। আল্লাহর সাথে অংশীবাদ সাব্যস্তকারীদের মনের জ্বালা বাড়লেও ইসলামী এপিস্টোমেলজিই বিজয়ী থাকবে। সেজন্য কুরআন ও সুন্নাহর মিলিত প্রজ্ঞাপ্রবাহের মাধ্যমে বিশ্বে জ্ঞানতাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্ব বিনির্মিত হতে পারে। ‘ইসলাম ও জ্ঞানতত্ত্ব’গ্রন্থে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
ইসলামী মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিজাতীয় দর্শন অনুকরণ-অনুসরণে বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে মুসলিমরা। এমনই অসহনীয় পরিণতি থেকে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে যারা অবিরাম প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের একজন মোঃ এনামুল হক। মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উন্মাতাল হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর জন্যই এই গ্রন্থের অবতারণা।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
নাস্তিকতাবাদের পতন’ তুরস্কের লেখক হারুন ইয়াহিয়ার ‘A Turning Point in History : The Fall of Atheism’ গ্রন্থের অনুবাদ। অনুবাদটি দৈনিক ইত্তেফাকে ‘নিরীশ্বরবাদের পতন : ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ’ শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থে নাস্তিক্যবাদের পতন, আল্লাহর অস্তিত্ব প্রসঙ্গ ও মৃত্যু আমাদের যা শেখায়-এ তিনটি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজাতির উপাখ্যান বোঝার ও জানার জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ এটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়্যাল, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, উপজাতি পরিচিত, এনজিও এবং মিশনারি সেবা ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ গ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
স্বাধীন হায়দারাবাদ হারিয়ে যাওয়া কোনো অতীত নয়। হায়দারাবাদ আমাদের জন্য জীবন্ত ইশতেহার ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। হায়দারাবাদের করুণ পরিণতি আমাদের অনেক কিছু ইঙ্গিত করে। প্রায় ৭০ বছর পরও হায়দারাবাদের ইতিহাস আমাদের সামনে এখনো প্রাসঙ্গিক।
খ্রিস্টপূর্ব ২৬৬৬ অব্দ থেকে ১৭৮৪ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে এর স্বাধীন সত্তা, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ইতিহাসে স্মরণীয় আরাকান। ১৪০৬ খ্রিস্টাব্দে আরাকানের রাজা পিতৃরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘ চব্বিশ বছর বাংলায় অবস্থানের পর ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ শাহের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আরাকান পুনরুদ্ধার করেন। এ গ্রন্থে আরাকান মুসলমানদের সোনালি ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.