পঞ্চদশ শতকে বাংলার জনসমষ্টিরই একাংশ স্বাধীন আরাকানের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ষষ্ঠদশ ও সপ্তদশ শতকে আরাকানের রাজসভা ছিল বাংলা সাহিত্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র। আরাকান তথা রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস আমাদের অতীত ঐতিহ্যের ইতিহাস, বাঙালি মুসলমানের গৌরবের ইতিহাস।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
আধ্যাত্মিক সিলসিলায় নিবেদিত অনুসারীরা কীভাবে জীবনবাজি রাখে তার ঐতিহাসিক দলিল এই বই। রুহানী সিলসিলায় দীক্ষিত ইমাম শামিল জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে চেচনিয়া এবং দাগিস্তানের নিপীড়িত মুসলমানদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর রক্তঝরা সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়।
ভাষা আন্দোলন বাঙালি তথা বাংলা ভাষাভাষি সম্প্রদায়ের জীবনে জাতীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এ মহান আন্দোলনের বস্তুনিষ্ঠ সচিত্র দলিলপত্রসহ ধারাবাহিক ইতিহাস আমাদের সামনে নেই। ১৯৪৭ সাল থেকে এ আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চরম পরিণতি লাভ করে। আর এই পরিণতি আত্মত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল।
এ আন্দোলনে বস্তুনিষ্ঠ ধারাবাহিক ইতিহাসের উপকরণ সংগ্রহের জন্য জনাব মোস্তফা কামাল দীর্ঘদিন এ আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ভাষা সৈনিকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং এসব গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার 'ঢাকা ডাইজেস্ট'-এ সিরিজ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার সময় সাক্ষাৎকারগুলো পাঠক ও বুদ্ধিজীবী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইতিহাসের অনুরাগী অনেক অনুসন্ধিৎসু পাঠক ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের এ সাক্ষাৎকার সংগ্রহের কাজকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের অন্বেষায় 'গ্রাউন্ড ওয়ার্ক' হিসেবে উৎসাহিত করেছেন।
এসব সাক্ষাৎকার 'ভাষা আন্দোলন: সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন' গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের অনেক বিভ্রান্তি ও কাল্পনিক তথ্যের অবসান ঘটিয়ে সঠিক ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। (নোট প্রকাশকের কথা)
৪৭-৫২ সময়ের ভাষা আন্দোলনের প্রত্যক্ষদর্শী ও সংগ্রামী ভাষাসৈনিকদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এ গ্রন্থে ভাষা আন্দোলনের অনেক বিভ্রান্তি ও কাল্পনিক তথ্যের অবসান ঘটিয়ে সঠিক ইতিহাস পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসের অনুরাগী অনুসন্ধিৎসু পাঠক ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস এ গ্রন্থ থেকে অন্বেষণ করতে পারবে।
একসময় আরব জাতি চিকিৎসা বিজ্ঞানে সবচেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। আবু ইবনে সিনা রচিত ÔCanons of Medicine’থেকে জ্ঞান আহরণ করে বর্তমান অগ্রগামী পশ্চিমা মেডিসিনের সূত্রপাত হয়েছে। লেখক এ গ্রন্থে কুরআন ও হাদীস থেকে মূলত চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে তা সন্নিবেশিত করেছেন। এ গ্রন্থে ৮ শতাধিক বিষয়ের ওপর প্রায় ১২ শতাধিক রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন।
এ গ্রন্থে লেখক স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করেছেন এ ভূখন্ডের অতীত ইতিহাসের গভীরে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐহিত্যের প্রবহমান মূলধারায় তিনি নির্দেশ করেছেন বাংলাদেশের উৎসস্থলকে। বাঙালির ইতিহাস নিয়ে আজও অনুসন্ধিৎসার বিরাম নেই। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এ প্রচেষ্টা আশাপ্রদভাবে ক্রমবর্ধমানতার প্রয়াস এই গ্রন্থে নিহিত।
বাংলা ভাষায় প্রথম সাহিত্যকর্ম চর্যাপদ। গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত বাঙ্গালী কবি কৃত্তিবাস তাঁর রামায়ণ রচনা করেন বাঙ্গালী মন নিয়ে। পরবর্তীতে ইলিয়াস শাহী বংশের শাসক রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ এবং তাঁর পুত্র ইউসুফ শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় মালধর বসু (গুনরাজ খাঁ) রচনা করেন ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্য। এটিই বাংলা ভাষায় প্রথম অব্রাহ্মণের রচনা। এ গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম শাসকদের অবদান আলোকপাত করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.