দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের হাতে রোযার বিধান এবং প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল তুলে দেওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই এ গ্রন্থের ক্ষুদ্র আয়োজন। মুমিন জীবনের আত্মশুদ্ধির জন্য রোযার গুরুত্ব, ফজিলত এবং বাস্তব জীবনে রোযা পালনের নিয়মকানুন ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
লেখক এ গ্রন্থে যিল-হজ্ব মাসের ফজিলত ও কুরবানি করার যাবতীয় নিয়মপদ্ধতি লিপিবদ্ধ করেছেন, যাতে যিল-হজ্বের প্রথম দশকে বিভিন্ন সুন্নত-নফল ইবাদতের (তাসবীহ, তাহলীল, যিকির-আযকার, নফল রোযা ইত্যাদি) মাধ্যমে যথাযথভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি।
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। যে দেশের শতকরা পঁচাত্তর ভাগের অধিক মানুষ রমজানের রোজা রাখে, নিয়মিত নামাজ পড়ে, সে দেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ঐশ্বর্যশালী দেশ। তাই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ কায়েম করতে হবে। এ গ্রন্থের পরতে পরতে সমাজ বিনির্মাণে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
সত্ত্বাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তাঁর দেহ নেই। তাঁর অবস্থা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে। গ্রন্থে আল্লাহর পরিচয়, সৃষ্টিকর্ম, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়সমূহ অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
কিয়ামতের পূর্ববর্তী আলামত, কিয়ামত, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ের ওপর পাঠক চাহিদার প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে এ গ্রন্থটি রচনা করেছেন। দুনিয়ায় আমাদের একটি বড় কর্তব্য হলো মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা এবং আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করা। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর ও উদাসীন। এ উদাসীনতা দূর করার নিমিত্তে এ গ্রন্থের সূচনা।
হাদীস আল কুরআনেরই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত মৌল নির্দেশনাগুলোর বিস্তারিত প্রায়োগিক রূপ। কুরআন হলো নীতিনির্ধারক, আর হাদীস হলো এর সঠিক বাস্তবায়নের পন্থা। হাদীস ব্যতীত ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। এ গ্রন্থে হাদীসের পরিভাষা, প্রকারভেদ, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, শর্তাবলিসহ বিশদ বর্ণনা ফুটে উঠেছে।
‘তাকওয়া ও ইহসানের পথ’ কুরআন-হাদীসের ভিত্তিতে রচিত বাস্তব আমলে জিন্দেগি ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠনের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া তিনি ফোরকানিয়া-মকতাবের উস্তাদ আলেমদের প্রশিক্ষক (উস্তাদ) হিসেবে তাযকিয়া তথা কালব-রূহ ও নফসের পরিশুদ্ধির সহিহ ধারাকে শিশুদের পর্যায় থেকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মুআল্লিমদের উদ্দেশে যে সকল বক্তব্য পেশ করেছেন, তার সারনির্যাস হলো এ কিতাব।
লেখক সর্বস্তরের মানুষের জন্য বোধগম্য ও সহজলভ্য করে কুরআন-হাদীসের আলোকে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নামাজ ও জরুরী দুআ সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। নামায পড়ার নিখুঁত পদ্ধতি এবং আল্লাহর রাসূল (সা.) কীভাবে নামাজ পড়তেন, সে সম্পর্কে বইটিতে সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে।
Reviews
There are no reviews yet.