ঢাকার নওয়ার পরিবার তথা খাজা পরিবারের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব খাজা শামসুল হক ও খাজা মওদুদ এবং তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠজন কাজী আবদুল কাইউমের লেখা বিভিন্ন সময়ের দিনপঞ্জি এবং ডায়েরি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ গ্রন্থ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। গ্রন্থে ১৯০৪ থেকে ১৯৩০ সালে ঘটনাবলির মাধ্যমে তৎকালীন ঢাকার সমাজ ও সংস্কৃতি বিশদভাবে রচিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল নজরুল-রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এখন বইছে প্রচন্ড বৈরী বাতাস। এই বিষাক্ত বৈরী বাতাসে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে। জনমনে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। জাতির বিভ্রান্তি নিরসনে এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর তাড়না থেকে এ গ্রন্থের অবতারণা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজাতির উপাখ্যান বোঝার ও জানার জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ এটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়্যাল, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, উপজাতি পরিচিত, এনজিও এবং মিশনারি সেবা ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ গ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
পঞ্চদশ শতকে বাংলার জনসমষ্টিরই একাংশ স্বাধীন আরাকানের গোড়াপত্তন করেছিলেন। ষষ্ঠদশ ও সপ্তদশ শতকে আরাকানের রাজসভা ছিল বাংলা সাহিত্যচর্চার প্রাণকেন্দ্র। আরাকান তথা রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস আমাদের অতীত ঐতিহ্যের ইতিহাস, বাঙালি মুসলমানের গৌরবের ইতিহাস।
যারা ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পঠন-পাঠনে আগ্রহী কিংবা বাইবেলের ওপর সম্যক ধারণা লাভ করতে চান, তাদের জন্য নিঃসন্দেহে বার্নাবাসের বাইবেল প্রচুর তথ্য ও উপাত্তের উৎসগ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত হবে। বাইবেলের মর্মবাণী অনুধাবন করার ও পাঠকের সামনে তুলে ধরার প্রয়াস এই গ্রন্থ।
খ্রিস্টপূর্ব ২৬৬৬ অব্দ থেকে ১৭৮৪ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে এর স্বাধীন সত্তা, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ইতিহাসে স্মরণীয় আরাকান। ১৪০৬ খ্রিস্টাব্দে আরাকানের রাজা পিতৃরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘ চব্বিশ বছর বাংলায় অবস্থানের পর ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ শাহের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আরাকান পুনরুদ্ধার করেন। এ গ্রন্থে আরাকান মুসলমানদের সোনালি ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে।
ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
Reviews
There are no reviews yet.