বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানতাত্ত্বিক ও মতাদর্শভিত্তিক জ্ঞানশৃঙ্খলার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যেই আল কোরআনের আবির্ভাব। আল্লাহর সাথে অংশীবাদ সাব্যস্তকারীদের মনের জ্বালা বাড়লেও ইসলামী এপিস্টোমেলজিই বিজয়ী থাকবে। সেজন্য কুরআন ও সুন্নাহর মিলিত প্রজ্ঞাপ্রবাহের মাধ্যমে বিশ্বে জ্ঞানতাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্ব বিনির্মিত হতে পারে। ‘ইসলাম ও জ্ঞানতত্ত্ব’গ্রন্থে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
নাট্য আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরানো। কেউ কেউ দাবি করছে ১৯৭১-এর পর এদেশে নাটকের জন্ম। ১৯৫০ সাল থেকে ঢাকার মঞ্চ ও বেতারে নাটকের ব্যাপক প্রচলন ছিল। সে সময় থেকে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সন-তারিখ তুলে ধরে ‘বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে ইতিহাস’ বইটি রচিত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল নজরুল-রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এখন বইছে প্রচন্ড বৈরী বাতাস। এই বিষাক্ত বৈরী বাতাসে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে। জনমনে রয়েছে নানা বিভ্রান্তি। জাতির বিভ্রান্তি নিরসনে এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর তাড়না থেকে এ গ্রন্থের অবতারণা।
ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বিভিন্ন উপজাতির উপাখ্যান বোঝার ও জানার জন্য একটি সহায়ক গ্রন্থ এটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়্যাল, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ, মাদ্রাসা শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচার, স্বাস্থ্যসেবা, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, উপজাতি পরিচিত, এনজিও এবং মিশনারি সেবা ইত্যাদি বিষয়সমূহ এ গ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
বাংলা ভাষায় প্রথম সাহিত্যকর্ম চর্যাপদ। গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত বাঙ্গালী কবি কৃত্তিবাস তাঁর রামায়ণ রচনা করেন বাঙ্গালী মন নিয়ে। পরবর্তীতে ইলিয়াস শাহী বংশের শাসক রুকনউদ্দিন বারবাক শাহ এবং তাঁর পুত্র ইউসুফ শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় মালধর বসু (গুনরাজ খাঁ) রচনা করেন ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ কাব্য। এটিই বাংলা ভাষায় প্রথম অব্রাহ্মণের রচনা। এ গ্রন্থে বাংলা সাহিত্যে মুসলিম শাসকদের অবদান আলোকপাত করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.