আন্তজার্তিক দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ, বৃহৎ শক্তিবর্গের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এসব বাস্তবতার প্রেক্ষাপট নিয়ে লোমহর্ষক এক গোয়েন্দা কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ফজলুর রহমান জুয়েল-এর ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বাদশাহ আমানুল্লাহ খান’। এ উপন্যাসে উপস্থাপিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পূর্ণ সত্য এবং তথ্যনির্ভর। ইতিহাসকে লেখক কথাসাহিত্যের সুন্দর ফ্রেমে স্থাপন করেছেন অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে।
এই গ্রন্থরে গল্পগুলো ১৯৮২ থেকে ২০০৫-এর মধ্যর্বতী সময়কে ধারণ করে লেখা। কাছ থেকে দেখা, বাস্তব জীবনরে কিছু খন্ডিতচিত্র সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। কোথাও কল্পনার আশ্রয় নেই। কোনো কোনো গল্প মনের আবেগে, পারবিারিক ও সমাজজীবনের রূপান্তরের পটভুমিকে সামনে রেখে লেখা।
কারবালা প্রান্তররে বিয়োগান্তক ঘটনাপরর্বতী সময়রে উপাখ্যান এই উপন্যাসরে মূল বিষয়বস্তু। এই উপন্যাসরে একটা মূল আবগে আছে মিথিলি বিন্যাস্ত প্লটকে একীকরণরে চেষ্টা আছে এবং সমগ্র আখ্যানকে একটা পরণিতি দেবার সজ্ঞান প্রচষ্টোও আছে । এতে প্রথম থেকে শেষে র্পযন্ত মানবজীবনের এই অদৃষ্টলাঞ্চিত মূর্তির আলেখ্য পুরস্কারের এই শোচনীয় পরিনামের কাহিনি ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হয়েছে।
আবু যার গিফারী (রা.) দস্যু র্সদার থেকে পরবর্তিতে সোনার মানুষ। রাসূল (সা.)-এর সান্নিধ্যে নিজেকে পরিনিত করেছিলেন নিরেট খাটি এক হীরার খন্ড। পরবর্তীকালে তার সৌরভে সুশোভিত হয়েছিল মক্কা থেকে সিরিয়া সীমান্ত, মদিনা থেকে রাবযার মরু প্রান্তর। আবু যার গিফারীর সৌরভে বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মোহিত করতে লেখকের অনবদ্য রচনা নিঃসঙ্গ পথিক।
Reviews
There are no reviews yet.