প্রায় তিনশত বছর আগের চলনবিল এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি উপখ্যান ধর্মী উপন্যাস। এটি একটি ইতিহাস, একটি প্রামান্য চিত্র। তৎকালীন চলনবিলের একটি হুবহু প্রতিচ্ছবি। লেখক এখানে একজন ফটোগ্রাফার মাত্র । তথ্যে, কাহিনীতে ও জনশ্রুতিতে যা এসেছে, লেখকের কলমে তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে। দেশজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণক্ষম এরূপ চেতনা থেকেই একটি সুন্দরতর প্রায়োগিক প্রয়াস চলনবিলের পদাবলী ঐতিহাসিক উপন্যাসটি। চলনবিলের পদাবলী উপন্যাসটি পাঠক মাত্রই জাতীয় ঐতিহ্যগত চেতনায় পুলকিত হবেন বলে আমাদের সহজাত ধারণা । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০২ সালে।
আন্তজার্তিক দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ, বৃহৎ শক্তিবর্গের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এসব বাস্তবতার প্রেক্ষাপট নিয়ে লোমহর্ষক এক গোয়েন্দা কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ফজলুর রহমান জুয়েল-এর ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বাদশাহ আমানুল্লাহ খান’। এ উপন্যাসে উপস্থাপিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পূর্ণ সত্য এবং তথ্যনির্ভর। ইতিহাসকে লেখক কথাসাহিত্যের সুন্দর ফ্রেমে স্থাপন করেছেন অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে।
এই উপন্যাসে পাঠক অনুভব করে থাকবেন নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক প্রেম এবং পুরুষপরমের মানবিক হৃদয়লীলা। অন্তহীন নারী এবং অন্তহীন পুরুষের রূপক ফল্লবী ও আনন্দের দ্বন্দ্বে। এ দন্দ্বের মিলনের, এ দ্বন্দ্ব বিচ্ছেদের। আল মাহমুদের শব্দ, বাক্য ও গল্পের গাঁথুনিতে এ দ্বন্দ্ব হয়ে উঠেছে একসাথে নৈকট্যের ও দূরত্বের। এভাবেই দ্বৈর্থ টানাপোড়নে গল্প এগিয়ে চলে...
এই গ্রন্থরে গল্পগুলো ১৯৮২ থেকে ২০০৫-এর মধ্যর্বতী সময়কে ধারণ করে লেখা। কাছ থেকে দেখা, বাস্তব জীবনরে কিছু খন্ডিতচিত্র সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। কোথাও কল্পনার আশ্রয় নেই। কোনো কোনো গল্প মনের আবেগে, পারবিারিক ও সমাজজীবনের রূপান্তরের পটভুমিকে সামনে রেখে লেখা।
মহীশূরের নন্দিত শাসক টিপু সুলতানের বীরত্বগাথা জীবনকাহিনি অবলম্বনে রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস। টিপু সুলতানের যে তলোয়ার ব্রিটিশদের বুকে তাসের সঞ্চার করতো, হায়দারাবাদের নিজাম ও দুর্দান্ত মারাঠা জাতির মিলিত শক্তি যে তলোয়ারে আঁচড় লাগাতে পারেনি। সেই তলোয়ার ভেঙ্গে গেল মহীশুরের দেওয়ান ও টিপু সুলতানের কুটুম মীর সাদিকের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার কাছে।
Reviews
There are no reviews yet.