এই গ্রন্থরে গল্পগুলো ১৯৮২ থেকে ২০০৫-এর মধ্যর্বতী সময়কে ধারণ করে লেখা। কাছ থেকে দেখা, বাস্তব জীবনরে কিছু খন্ডিতচিত্র সাবলীল ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। কোথাও কল্পনার আশ্রয় নেই। কোনো কোনো গল্প মনের আবেগে, পারবিারিক ও সমাজজীবনের রূপান্তরের পটভুমিকে সামনে রেখে লেখা।
প্রায় তিনশত বছর আগের চলনবিল এলাকার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জীবনের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি উপখ্যান ধর্মী উপন্যাস। এটি একটি ইতিহাস, একটি প্রামান্য চিত্র। তৎকালীন চলনবিলের একটি হুবহু প্রতিচ্ছবি। লেখক এখানে একজন ফটোগ্রাফার মাত্র । তথ্যে, কাহিনীতে ও জনশ্রুতিতে যা এসেছে, লেখকের কলমে তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে। দেশজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণক্ষম এরূপ চেতনা থেকেই একটি সুন্দরতর প্রায়োগিক প্রয়াস চলনবিলের পদাবলী ঐতিহাসিক উপন্যাসটি। চলনবিলের পদাবলী উপন্যাসটি পাঠক মাত্রই জাতীয় ঐতিহ্যগত চেতনায় পুলকিত হবেন বলে আমাদের সহজাত ধারণা । বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০০২ সালে।
কারবালা প্রান্তররে বিয়োগান্তক ঘটনাপরর্বতী সময়রে উপাখ্যান এই উপন্যাসরে মূল বিষয়বস্তু। এই উপন্যাসরে একটা মূল আবগে আছে মিথিলি বিন্যাস্ত প্লটকে একীকরণরে চেষ্টা আছে এবং সমগ্র আখ্যানকে একটা পরণিতি দেবার সজ্ঞান প্রচষ্টোও আছে । এতে প্রথম থেকে শেষে র্পযন্ত মানবজীবনের এই অদৃষ্টলাঞ্চিত মূর্তির আলেখ্য পুরস্কারের এই শোচনীয় পরিনামের কাহিনি ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হয়েছে।
মহীশূরের নন্দিত শাসক টিপু সুলতানের বীরত্বগাথা জীবনকাহিনি অবলম্বনে রচিত ঐতিহাসিক উপন্যাস। টিপু সুলতানের যে তলোয়ার ব্রিটিশদের বুকে তাসের সঞ্চার করতো, হায়দারাবাদের নিজাম ও দুর্দান্ত মারাঠা জাতির মিলিত শক্তি যে তলোয়ারে আঁচড় লাগাতে পারেনি। সেই তলোয়ার ভেঙ্গে গেল মহীশুরের দেওয়ান ও টিপু সুলতানের কুটুম মীর সাদিকের প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার কাছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই প্রথম ঘোষিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। সেসময় চট্টগ্রামের যে টালমাটাল অবস্থা লেখক আবলোকন করেছেন সেই তাগিদ থেকেই লেখককে কলম ধরতে হয়েছে। সেই সব ঘটনাগুলো লেখকের ভেতরকার সুপ্ত পাগল মনটাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সেদিনের সেই কলম ধরারই পূর্ণপরিণতি বা পরিপূর্ণ ফসল।
‘কাদা মাটির সাতকাহন’ শুধু নর-নারীর সর্ম্পকের টানাপোড়েন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির দ্বান্দ্বিক বাস্তবতাকে নিপুণ কুশলতায় ফুটিয়ে তোলেন। নির্যাতিত এক গ্রামীণ নারীর বোবা আর্তনাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটেছে হৃদয় নদীর বহমান ধারায়। ঐ দুঃখিনী নারীর মনঃসমীক্ষণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’। দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বদলে যাওয়া ব্যক্তিমানসের এক বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস ‘আত্মসমর্পণ।
Reviews
There are no reviews yet.