মুসলিম শাসনামলে বাংলা ভাষার নবজন্ম ঘটে, বাংলা সাহিত্যের চর্চা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সাহিত্য যে ঐতিহাসিক বাস্তবতার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ধারণ করে এক স্বাধীন জাতি ও সমৃদ্ধ সাহিত্যের উত্তরাধিকারিত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তারই নানান প্রয়াস এ গ্রন্থে নিহিত রয়েছে।
ইসলামী মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিজাতীয় দর্শন অনুকরণ-অনুসরণে বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে মুসলিমরা। এমনই অসহনীয় পরিণতি থেকে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে যারা অবিরাম প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের একজন মোঃ এনামুল হক। মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উন্মাতাল হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর জন্যই এই গ্রন্থের অবতারণা।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
বিশ্বের সমস্ত জ্ঞানতাত্ত্বিক ও মতাদর্শভিত্তিক জ্ঞানশৃঙ্খলার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্যেই আল কোরআনের আবির্ভাব। আল্লাহর সাথে অংশীবাদ সাব্যস্তকারীদের মনের জ্বালা বাড়লেও ইসলামী এপিস্টোমেলজিই বিজয়ী থাকবে। সেজন্য কুরআন ও সুন্নাহর মিলিত প্রজ্ঞাপ্রবাহের মাধ্যমে বিশ্বে জ্ঞানতাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্ব বিনির্মিত হতে পারে। ‘ইসলাম ও জ্ঞানতত্ত্ব’গ্রন্থে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।
স্বাধীন হায়দারাবাদ হারিয়ে যাওয়া কোনো অতীত নয়। হায়দারাবাদ আমাদের জন্য জীবন্ত ইশতেহার ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। হায়দারাবাদের করুণ পরিণতি আমাদের অনেক কিছু ইঙ্গিত করে। প্রায় ৭০ বছর পরও হায়দারাবাদের ইতিহাস আমাদের সামনে এখনো প্রাসঙ্গিক।
খ্রিস্টপূর্ব ২৬৬৬ অব্দ থেকে ১৭৮৪ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর ধরে এর স্বাধীন সত্তা, সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা, রাজনৈতিক ঐতিহ্য ইতিহাসে স্মরণীয় আরাকান। ১৪০৬ খ্রিস্টাব্দে আরাকানের রাজা পিতৃরাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে দীর্ঘ চব্বিশ বছর বাংলায় অবস্থানের পর ১৪৩০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ শাহের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আরাকান পুনরুদ্ধার করেন। এ গ্রন্থে আরাকান মুসলমানদের সোনালি ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.