অসহযোগ আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের জন্য কল্পনাতীত দুর্যোগ। কারণ -এর আগে আন্দোলনের অনেক কর্মসূচি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবহ ছিল। সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের রূপ নিতেছিল। এই দুঃসময়ে কলম নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কিছু বলা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সেই সময়ের বীরত্বগাঁথা ইতিহাস এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
লেখক এ গ্রন্থে যুদ্ধের ময়দানে জেড ফোর্সের প্রত্যক্ষ ভূমিকার বিশদ বিবরণ অত্যন্ত সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। তিনি মিথ্যাচারের খোলসকে উন্মোচন করে আসল ঘটনার স্বরূপ গ্রথিত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের মূল উপাদান ও তথ্যাদি নির্ভুলভাবে, সঠিক পরিপ্রেক্ষিতে এবং সময় ও ঘটনার পারম্পর্য অক্ষুণ্য রেখে উপস্থাপন করার প্রয়াস চালিয়েছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সামরিক পেশাজীবন ৬২২ থেকে ৬৩২ হিজরী অবধি তার জীবনের শেষ দশ বছর স্থায়ী হয়েছিল। শক্তিশালী কুরাইশ গোত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পবিত্র মক্কা নগরী থেকে তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদের বিতারিত করা হয়। তিনি মক্কার কাফেলাগুলোকে বাধা দিতে শুরু করেছিলেন। ৬২৪ হিজরীতে বদর যুদ্ধের প্রথম লড়াইয়ের পরে তাঁর শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায় এবং কূটনিতীক বিজয়ের মাধ্যমে তিনি অন্যান্য গোত্রগুলোকে প্রভাবিক করতে শুরু করেন। ৬৩০ হিজরিতে তিনি মক্কা এবং কারা জয়ের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ৬৩২ সালে তাঁর মৃত্যর সময়ে মুহাম্মাদ সা. আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ অঞ্চলকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। এবং পরবর্তীকালে ইসলাম বিস্তারে মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। লে: কর্নেল ড. এ কে এম মাকসুদুল হক রচিত 'রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কৌশল' বইয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) জীবনে শুধুমাত্র গোয়েন্দা ইস্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়েছে। লেখকের আধুনিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং সামরিক জীবনের একটি বড় সময় গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরির অভিজ্ঞতার আলোকে রাসূলুল্লাহর (সা.) গোয়েন্দা কার্যক্রমগুলোকে বিন্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহর (সা.) গোয়েন্দা অভিযানসমূহকে আজকের যুগের ধাঁচে আলোচনা করলে দেখা যাবে আধুনিক গোয়েন্দা অভিযানগুলোই রাসূল (সা.) পরিচালনা করেছিলেন সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই। রাসূল (সা.) সফলতার সাথে তাঁর গোয়েন্দা মিশনসমূহ সুসম্পন্ন করতে পেরেছিলেন বলেই ইতিহাসের সবচেয়ে কম রক্তপাতে সর্বকালের সর্বগ্রাসী একটি বিপ্লব সাধন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। উক্ত গ্রন্থে লেখক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কৌশলসমূহ যুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন। আশা করি বইটি পঠনে পাঠক সমাজ উপকৃত হবেন।
আবুল হাশিমের এই গ্রন্থটি অবিভক্ত ভারতে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনেরই স্মৃতি চারণের অংশ বিশেষ। মুসলিম লীগকে একটি তৃণমূল রাজনৈতিক সংগঠন রূপে গড়ে তোলার এবং বঙ্গবিভাগের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর শ্রম ও প্রচেষ্টার আলোচনা রয়েছে এই স্মৃতি কথায়। একজন আগ্রহী পাঠকের জন্য এই গ্রন্থে ভারত বিভাগ, পাকিস্তান স্মৃতি এবং আজকের বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে বিতর্কাদির অনেক জবাব রয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক উত্থান-পতনের প্রত্যক্ষ দর্শক, বিশ্লেষক এবং চিন্তাশীল বুদ্ধিজীবী আবুল আসাদ-এর প্রামাণ্যগ্রন্থ ‘একশ’ বছরের রাজনীতি’। জাতীয় ইতিহাসের প্রতিটি পর্যায়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে সত্যের বিকৃতি ঘটেছে বারংবার। সেই অবস্থা থেকে প্রকৃত ঘটনাধারাকে আবিষ্কার করে জনসাধারণের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার কবলে বাংলাদেশের রাজনীতির অনিবার্য নিয়তি। গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিরোধী দুষ্টুচক্র থেকে মুক্তির উপায় উদ্ভাবনে এবং জাতির উন্নয়ন ভাবনার বিপরীতে যেসব সমস্যা ও সংকট বারংবার আবর্তিত হচ্ছে তার স্বরূপ উদ্ঘাটনে এই গ্রন্থের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
Reviews
There are no reviews yet.