‘তাকওয়া ও ইহসানের পথ’ কুরআন-হাদীসের ভিত্তিতে রচিত বাস্তব আমলে জিন্দেগি ও তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠনের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে। এ ছাড়া তিনি ফোরকানিয়া-মকতাবের উস্তাদ আলেমদের প্রশিক্ষক (উস্তাদ) হিসেবে তাযকিয়া তথা কালব-রূহ ও নফসের পরিশুদ্ধির সহিহ ধারাকে শিশুদের পর্যায় থেকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মুআল্লিমদের উদ্দেশে যে সকল বক্তব্য পেশ করেছেন, তার সারনির্যাস হলো এ কিতাব।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো নামায ও যাকাত। মহানবী (সা.)-এর প্রদর্শিত পন্থায় নামায আদায়ের নিয়মকানুনসহ প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল, যাকাত ও উশরের খাত, নিসাব ও আদায় করার পদ্ধতি এবং বিধিবিধান সম্পর্কে জ্ঞানার্জন ও আমলে জিন্দেগীর পরিবর্তন সাধনই এ গ্রন্থের লক্ষ্য।
মৃত্যুর আগে পরে’ গ্রন্থে মানবজীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে। আল্লাহর সাথে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকারের ভিত্তিতে মানুষ পৃথিবীতে আসে তাঁর ইবাদত ও খেলাফতের দায়িত্বপালনের উদ্দেশ্যে। কিয়ামতে দুনিয়ার জীবনের কর্মকান্ডে চুড়ান্ত হিসাব শেষে সে চিরস্থায়ী সুখের আবাসগৃহ জান্নাতে অথবা অন্তহীন দুঃখের আবাস জাহান্নামে যাবে। এ গ্রন্থে সেই বিষয়সমূহের ইঙ্গিত রয়েছে।
এ গ্রন্থে কুরআন-হাদীসের আলোকে পরিবার ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর গড়ে তোলার জন্য মানুষকে দুনিয়ার জীবনযাপন ও জান্নাতমুখী আমলের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন। মাতা-পিতা ও সন্তানের দ্বীনি জিন্দেগীর নানা দিকের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব এবং সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার দায়িত্ব সম্পর্কে সুবিন্যস্তভাবে অবগত করা হয়েছে।
ক্রীতদাস সাহাবীরা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কত প্রিয় ছিলেন, তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে এই গ্রন্থে। মহানবীর কয়েকজন মুক্ত দাসদাসী সাহাবীর বাস্তব কাহিনি উল্লেখ করা হলো, যা অলৌকিক কাহিনিকে হার মানায়। বর্তমান কালের সঠিক অবক্ষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাসূল (সা.)-এর সাহাবীদের জীবনকাহিনি চর্চা যত বেশি হয়, ততই আমাদের জন্যে কল্যাণকর।
হাদীস আল কুরআনেরই ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, আল কুরআনের সংক্ষিপ্ত মৌল নির্দেশনাগুলোর বিস্তারিত প্রায়োগিক রূপ। কুরআন হলো নীতিনির্ধারক, আর হাদীস হলো এর সঠিক বাস্তবায়নের পন্থা। হাদীস ব্যতীত ইসলামের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। এ গ্রন্থে হাদীসের পরিভাষা, প্রকারভেদ, গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, শর্তাবলিসহ বিশদ বর্ণনা ফুটে উঠেছে।
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। যে দেশের শতকরা পঁচাত্তর ভাগের অধিক মানুষ রমজানের রোজা রাখে, নিয়মিত নামাজ পড়ে, সে দেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ঐশ্বর্যশালী দেশ। তাই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ কায়েম করতে হবে। এ গ্রন্থের পরতে পরতে সমাজ বিনির্মাণে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.