আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব অপরিসীম। যে দেশের শতকরা পঁচাত্তর ভাগের অধিক মানুষ রমজানের রোজা রাখে, নিয়মিত নামাজ পড়ে, সে দেশ সত্যিকার অর্থেই একটি ঐশ্বর্যশালী দেশ। তাই ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজ কায়েম করতে হবে। এ গ্রন্থের পরতে পরতে সমাজ বিনির্মাণে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
কিয়ামতের পূর্ববর্তী আলামত, কিয়ামত, হাশর, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি বিষয়ের ওপর পাঠক চাহিদার প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে এ গ্রন্থটি রচনা করেছেন। দুনিয়ায় আমাদের একটি বড় কর্তব্য হলো মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা এবং আখিরাতের পাথেয় সংগ্রহ করা। কিন্তু আমরা এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর ও উদাসীন। এ উদাসীনতা দূর করার নিমিত্তে এ গ্রন্থের সূচনা।
মানুষের অতি মূল্যবান সম্পদ হলো চরিত্র। চরিত্র সংশোধনে উদ্যোক্তার অভাব। লেখক এ গ্রন্থে চরিত্র গঠনের জন্য সমাজের ভ‚মিকা কীভাবে কার্যকর করা প্রয়োজন তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। কুরআন, হাদীস ও নামাজের মাধ্যমে চরিত্র গঠনের জন্য চমৎকার উপকরণ এ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের হাতে রোযার বিধান এবং প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল তুলে দেওয়ার প্রত্যাশা নিয়েই এ গ্রন্থের ক্ষুদ্র আয়োজন। মুমিন জীবনের আত্মশুদ্ধির জন্য রোযার গুরুত্ব, ফজিলত এবং বাস্তব জীবনে রোযা পালনের নিয়মকানুন ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
সত্ত্বাগতভাবে আল্লাহ তায়ালা একক ও অদ্বিতীয়। সৃষ্টির কোনো বস্তুর সঙ্গে আল্লাহর সত্তার সাদৃশ্য নেই। আল্লাহ তায়ালা বিদ্যমান রয়েছেন, কিন্তু মানুষের মতো তাঁর দেহ নেই। তাঁর অবস্থা মানুষের চিন্তা ও বোধগম্যের ঊর্ধ্বে। গ্রন্থে আল্লাহর পরিচয়, সৃষ্টিকর্ম, ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়সমূহ অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
ব্যক্তি ও সমাজজীবনে চলার জন্য ইসলাম আমাদেরকে পথ দেখিয়েছে। মুয়ামালাত ও মুয়াশারাতের ক্ষেত্রে ইসলাম আমাদের কী পথ বাতলে দিয়েছে, তা লেখক এ গ্রন্থে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম জীবনাচরণে, কথা-কাজে, আদব-কায়দায়, নীতি-নৈতিকতায়, জবাবদিহিতায় কীভাবে একজন আদর্শবান মানুষ হিসেবে নিজেদের তৈরি করবে, তার সুন্দর ও সার্বিক দিকনির্দেশনা রয়েছে বইটিতে।
Reviews
There are no reviews yet.