ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যের এক মৌলিক প্রতিভাধর কবি। ফররুখ আহমদের এযাবৎকাল প্রকাশিত শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা সব কটি গ্রন্থেই উপরোক্ত অভিমতের যথার্থতা মেলে। বিশেষত ‘ছড়ার আসর’-কে বলা চলে এ ধারার পরিণত ফসল। প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন ‘ছড়ার আসর’ গ্রন্থটি স্বতন্ত্র গ্রন্থের মর্যাদা রাখে। ছন্দ ও মাত্রার নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ গ্রন্থটি শিশু-
তারার গগন’ ‘সাজজাদ হোসাইন খানের কিশোর কবিতাগ্রন্থ। তিনি কবিতার মাধ্যমে কিশোর মনের স্বপ্ন আঁকেন। ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর প্রকৃতির মধ্য শেকড়ের সম্মিলন ঘটান। তিনি জাদুময় ছন্দের আহবানে কিশোর মনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেন। এ গ্রন্থের প্রতিটি কবিতা আশা-আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত করে এবং স্বপ্নের সেতু নির্মাণের যোগসূত্রতা তৈরি করে।
হরফ দিয়েই ভাষার শুরু। যারা ভাষা লিখতে ও পড়তে শিখবে হরফ তাদের জন্য। যত সহজ, সুরেলা, বৈচিত্র্যময় হবে ততই তাদের ভাষা শেখার আগ্রহ হবে স্বাভাবিক। ফলে অল্প দিনে তারা ভাষা আয়ত্ত করতে পারবে। এই উপলব্ধি থেকে বাংলা হরফকে মুক্ত করার জন্য ফররুখ আহমদ ‘হরফের ছড়া’ লিখে একটি বুনিয়াদি কাজ করেছেন।
ফররুখ আহমদের সৃষ্টিসম্ভার বাংলা সাহিত্যকে আরো বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ করে তোলে। বাংলা সাহিত্যে তাঁর রচনা বহুমাত্রিকতায় সুবিন্যস্ত। তাঁর রচনাবলির বৃহদাংশ এখনো অগ্রন্থিত। তাঁর অনেক রচনা এখনো লোকচক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে। এই অনুভব থেকেই ‘শ্রেষ্ঠ ফররুখ’ গ্রন্থের পথচলা। এতে ফররুখ আহমদের এমন সব রচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা সম্পাদকের বিবেচনায় তাঁর সৃষ্টিসম্ভারের সবচেয়ে অনিন্দ্য ফসল।
মাহমুদুল হাসান নিজামী শিল্পের জন্যই শিল্প সৃষ্টি করতে চাননি। প্রকৃতির সব শিল্প সৌন্দর্যকে নানা কৌণিক অবস্থান থেকে দেখতে চেয়েছেন বারবার। কবিতার শিল্পনগরে শৈলীর নির্মোহ ওজন করে দেখতে চান প্রকৃতি ও প্রণয়ের এই কবি। রক্তে তার প্রতিক্ষণ খেলে কাব্যকেলি, সৃষ্টিতে তিনি সৃজন পোকার আসনে আসীন, উপমা কুড়িয়ে তিনি কাব্যশিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহ করেন। ‘স্বপ্ন ভরা মজার ছড়া’ বইটি তারই নির্যাস।
Reviews
There are no reviews yet.