আমাদের দেশের তরুণ সমাজ জ্ঞান চর্চার গভীরে পৌছার সুযোগ সুবিধা, পথনির্দেশ না পেয়ে আনন্দ চর্চার নামে সস্ত। সাহিত্য এবং পর্ণসাহিত্যের অশ্লীলতায় বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিভাধরগণ পথনির্দেশনা দিয়ে নিজ নিজ স্বার্থোদ্ধারের পুঁজি হিসাবে তাদের ব্যবহার করে চলেছেন। ফলে দেশে জীবিকা ভানের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি না হয়ে দ্বন্দ্বে, কলহে, আন্দোলনে তরুন সমাজের মন-মস্তিষ্ক ধ্যাণ-ধারণা আছন্ন হয়ে পড়ছে। সাংস্কৃতিক বাখাটেপনা তারই নির্যাস।
প্রাচীন সভ্যতা থেকে শুরু করে এই আধুনিককাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের উৎস ও কারণগুলো ইতিহাসের নিকষ কালো গহ্বর থেকে তুলে এনেছেন। নারী নির্যাতনের ইতিহাস-উপকরণ, দুর্লভ ছবি, মূল্যবান তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে গ্রন্থটিকে সাজিয়েছেন। এছাড়া একমাত্র ইসলামই যে নারীর প্রকৃত মুক্তি ও মর্যাদার বিধান সুনিশ্চিত করেছে -এর বাস্তবতা তথ্য নির্ভর অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
১৯৩২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সক্রিয় কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে তিনি মানবচরিত্র নিয়ে যেসব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন তাই তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। এই বাষট্টি বৎসরে আমাদের সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, মন মানসিকতার যে রূপান্তর ঘটেছে জীবনের মূল্যবোধে, তারই চিত্র অংকন করেছেন লেখক, পাঠক সমাজের জন্য। এগুলো বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে আনাগোনার ফলস্বরূপ তার ব্যক্তিগত উপলব্ধি।
ইসলামী মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত হয়ে বিজাতীয় দর্শন অনুকরণ-অনুসরণে বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে মুসলিমরা। এমনই অসহনীয় পরিণতি থেকে আমাদের নিজস্ব স্বকীয়তা ফিরিয়ে আনতে যারা অবিরাম প্রচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের একজন মোঃ এনামুল হক। মূল্যবোধ অবক্ষয়ের উন্মাতাল হাওয়া রুখে দাঁড়ানোর জন্যই এই গ্রন্থের অবতারণা।
গবেষক মুহাম্মদ আবূ তালিবের এ গ্রন্থে প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্ত্বার প্রকৃত মূলধারাকে চিহ্নিত করেছেন। ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যে পৌত্তলিকতার ভেড়িবাঁধ নির্মিত হয়েছে। যুগে যুগে এবং একত্ববাদী মূল গ্রোতকে ঘোলাটে করতে ব্রাহ্মণ্য চিন্তা-চেতনার আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারই ইঙ্গিত এই গ্রন্থের পরতে পরতে।
ফররুখ আহমদ বাংলা সাহিত্যে প্রতিভাধর কালজয়ী এক বৈশিষ্ট্যমন্ডিত স্বতন্ত্র কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। ভাব-ভাষা, ছন্দ, রূপক উপমা প্রতীকের নৈপুণ্যময় ব্যবহারে তিনি এ স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেছেন। সমকালে এবং পরবর্তীকালেও তাঁর সম্পর্কে যাঁরা আলোচনা করেছেন, তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো নিয়েই ফররুখ আহমদের স্বাতন্ত্র্য ও বৈশিষ্ট্য-(১ম খন্ড ও ২য় খন্ড) সম্পাদিত হয়েছে।
আধ্যাত্মিক সিলসিলায় নিবেদিত অনুসারীরা কীভাবে জীবনবাজি রাখে তার ঐতিহাসিক দলিল এই বই। রুহানী সিলসিলায় দীক্ষিত ইমাম শামিল জারতন্ত্রের বিরুদ্ধে চেচনিয়া এবং দাগিস্তানের নিপীড়িত মুসলমানদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাঁর রক্তঝরা সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ের পাতায় পাতায়।
মুসলিম শাসনামলে বাংলা ভাষার নবজন্ম ঘটে, বাংলা সাহিত্যের চর্চা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সাহিত্য যে ঐতিহাসিক বাস্তবতার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ধারণ করে এক স্বাধীন জাতি ও সমৃদ্ধ সাহিত্যের উত্তরাধিকারিত্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, তারই নানান প্রয়াস এ গ্রন্থে নিহিত রয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.