‘পশু-পাখীর গল্প-১’ নামক গ্রন্থটিতে দশটি গল্প স্থান দিয়েছি। গল্পগুলো সমৃদ্ধ ফার্সি সাহিত্য থেকে নেওয়া হয়েছে। এগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও শিক্ষণীয় করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বাছাই ও ভাষান্তর করা হয়েছে। ‘পারস্য প্রতিভা’ বলে জগৎখ্যাত লেখকরা শিশু-কিশোরদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যেই এসব গল্প রচনা করেছিলেন।
লেখক এই গ্রন্থে শিশু-কিশোরদের জীবন গঠনে, তাদের মানুষ হবার স্বপ্ন সফল করতে জ্ঞানের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করার মাধ্যমে শিশুদের প্রেরণা শক্তি সাহস জুগিয়েছেন। শিশুরা তাদের মেধা, দক্ষতা ও কর্মের মাধ্যমে আগামীর সমৃদ্ধ দেশ গড়তে উদ্বুদ্ধ হবে। এটি শিশু-কিশোরদের মহৎ জীবন গঠনে সহায়ক একটি গ্রন্থ।
‘স্বপ্নের ঠিকানা’ গ্রন্থটি জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি ‘পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজেকে গড়ো’-এ প্রত্যয়ে উদ্বুদ্ধ করবে আমাদের তারুণ্যকে, যা তাদের দেবে আলোকিত পথের দিশা। লেখক অনেক স্মৃতিময় ঐতিহাসিক ঘটনার বৃত্ত এঁকে শিক্ষামূলক অজানা কাহিনির আড়ালে এঁকেছেন দেশ ও জাতিকে গড়ার স্বপ্ন। বিবৃত করেছেন নানান জানা অজানা প্রেক্ষাপট।
মানুষের চলার পথেয় আল কুরআন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে অত্যন্ত সুদৃঢ় ও সুনিপুণভাবে সেতুবন্ধন করে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুরা নিষ্পাপ। তাদের জানা-বোঝা ও শেখার ক্ষেত্রে রয়েছে সীমাবদ্ধতা। কুরআনের কাহিনিগুলো তাদের সামনে গল্পের ছলে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব। সে দায়বোধ থেকেই ‘আল কুরআনের গল্প’ বইয়ের অবতারণা।
শিশু-কিশোররা সমাজের চারপাশের নানা জিনিস সম্পর্কে জানতে চায়। তাদের সেই জানার আগ্রহ অনেকখানি মেটায় শিশুসাহিত্য। এসবের মধ্য দিয়ে সে চেনা-জানা জগৎটাকে নতুন করে বুঝতে শেখে। গল্পের অনেক চরিত্রের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে বেড়ায়। ফলে এসবের এ মধ্য দিয়ে আপন জগৎটাকে সে উপলব্ধি করতে পারে। সেই উপলব্ধি থেকে লেখক প্রতিটি গল্পে চরিত্রকে নির্মাণ করেছেন।
শফীউদ্দীন সরদার রচিত ‘বুড়ির ঘুড়ি’ ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে শিশু-কিশোরের মনে আদর্শ শিক্ষার আভা প্রস্ফুটিত করতে গ্রন্থে প্রয়াস চালিয়েছেন। তিনি রূপকথার আঙ্গিকে প্রতিটি ছোটগল্প লিখলেও পাঠকের চাহিদা উপযোগী ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘বুড়ির ঘুড়ি’ শিশু-কিশোর মন আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করি।
Reviews
There are no reviews yet.