কারবালা প্রান্তররে বিয়োগান্তক ঘটনাপরর্বতী সময়রে উপাখ্যান এই উপন্যাসরে মূল বিষয়বস্তু। এই উপন্যাসরে একটা মূল আবগে আছে মিথিলি বিন্যাস্ত প্লটকে একীকরণরে চেষ্টা আছে এবং সমগ্র আখ্যানকে একটা পরণিতি দেবার সজ্ঞান প্রচষ্টোও আছে । এতে প্রথম থেকে শেষে র্পযন্ত মানবজীবনের এই অদৃষ্টলাঞ্চিত মূর্তির আলেখ্য পুরস্কারের এই শোচনীয় পরিনামের কাহিনি ধীরে ধীরে উদ্ঘাটিত হয়েছে।
এই উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের পতনের রূপরেখা অংকন করেছেন। পাশাপাশি খারেযাম শাহী সালতানাতের শেষ দিনগুলোর বাস্তব চিত্র এঁকেছেন। পরামর্শ ও সুবুদ্ধি অপেক্ষা রাজাদের ব্যক্তিগত খোশখেয়াল, রাজকীয় মর্জি এবং ভুল সিদ্ধান্ত একটি শক্তিশালী সালতানাত ধ্বংস করে দিতে পারে। তারই বাস্তব ইতিহাস 'শেষ প্রান্তর' উপন্যাস।
হিজরীরর প্রথম শতাব্দীতেই সিন্ধুতে ইসলামের আবির্ভাব। আর বিজয়ের উদ্দাম সেনানী ছিলেন সতেরো বছরের এক তরুণ সিপাহসালার মুহম্মদ ইব্ন কাসিম। তার বীরত্বপূর্ণ জীবন কাহিনী অবলম্বনে বিশ্ববিখ্যাত লেখক নসিম হিজাযী রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস মুহাম্মদ ইবন্ কাসিম। ইসলামের ইতিহাসের স্বর্ণযুগের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর তলোয়ারে ঝলসে উঠেছিল বীরত্বে দীপ্ত তেজ, ব্যক্তিত্বে বিকশিত হয়েছিল ইসলামের মহত্ত্বের অনুপম সৌন্দর্য। উপন্যাসে এই মুজাহিদ সেনাপতির সিন্দু অভিযানসহ সমগ্র জীবনটি অনবদ্যভাবে চিত্রায়িত হয়েছে।
আবু যার গিফারী (রা.) দস্যু র্সদার থেকে পরবর্তিতে সোনার মানুষ। রাসূল (সা.)-এর সান্নিধ্যে নিজেকে পরিনিত করেছিলেন নিরেট খাটি এক হীরার খন্ড। পরবর্তীকালে তার সৌরভে সুশোভিত হয়েছিল মক্কা থেকে সিরিয়া সীমান্ত, মদিনা থেকে রাবযার মরু প্রান্তর। আবু যার গিফারীর সৌরভে বাংলা সাহিত্যের পাঠকদের মোহিত করতে লেখকের অনবদ্য রচনা নিঃসঙ্গ পথিক।
‘কাদা মাটির সাতকাহন’ শুধু নর-নারীর সর্ম্পকের টানাপোড়েন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির দ্বান্দ্বিক বাস্তবতাকে নিপুণ কুশলতায় ফুটিয়ে তোলেন। নির্যাতিত এক গ্রামীণ নারীর বোবা আর্তনাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটেছে হৃদয় নদীর বহমান ধারায়। ঐ দুঃখিনী নারীর মনঃসমীক্ষণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’। দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বদলে যাওয়া ব্যক্তিমানসের এক বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস ‘আত্মসমর্পণ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম চট্টগ্রাম থেকেই শুরু হয়। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই প্রথম ঘোষিত হয় স্বাধীনতার ঘোষণা। সেসময় চট্টগ্রামের যে টালমাটাল অবস্থা লেখক আবলোকন করেছেন সেই তাগিদ থেকেই লেখককে কলম ধরতে হয়েছে। সেই সব ঘটনাগুলো লেখকের ভেতরকার সুপ্ত পাগল মনটাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসটি সেদিনের সেই কলম ধরারই পূর্ণপরিণতি বা পরিপূর্ণ ফসল।
আন্তজার্তিক দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ, বৃহৎ শক্তিবর্গের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এসব বাস্তবতার প্রেক্ষাপট নিয়ে লোমহর্ষক এক গোয়েন্দা কাহিনি অবলম্বনে লিখিত ফজলুর রহমান জুয়েল-এর ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বাদশাহ আমানুল্লাহ খান’। এ উপন্যাসে উপস্থাপিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পূর্ণ সত্য এবং তথ্যনির্ভর। ইতিহাসকে লেখক কথাসাহিত্যের সুন্দর ফ্রেমে স্থাপন করেছেন অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে।
Reviews
There are no reviews yet.