ব্যর্থরা কেন হাসে?- আনোয়ার বিন এ. খালেক
ব্যর্থরা কেন হাসে?- আনোয়ার বিন এ. খালেক
মওলানা আবুল কালাম আযাদ: মানবতাবাদী রাজনীতিক ও সাহিত্যিক
মওলানা আবুল কালাম আযাদ: মানবতাবাদী রাজনীতিক ও সাহিত্যিক-ড. এ. সালাম
মানাকিবে আহলে বাইত- ড. মুহাম্মদ আরিফুর রহমান
‘আহলে বাইত’ বলতে রাসূল (সা.)-এর পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়দের আখ্যায়িত করা হয়। আর ‘মানাকিব’ দ্বারা তাঁদের উচ্চ মর্যাদা ও ফজিলত তথা গুণ-বৈশিষ্ট্যকে বুঝায়। ‘মানাকিবে আহলে বাইত’ হচ্ছে রাসূল (সা.)-এর পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়দের উচ্চ মর্যাদা ও ফজিলত তথা গুণ-বৈশিষ্ট্য বিষয়ক বর্ণনা। কুরআনিক অর্থে নবীজি (সা.)-এর আহলে বাইতের সদস্য ছিলেন চারজন-হযরত ফাতেমা (রা.), হযরত আলী (রা.), হযরত হাসান (রা.) ও হযরত হোসাইন (রা.)। মর্যাদার দিক থেকে তাঁরাই সবার ঊর্ধ্বে। নবীপত্নীরাও আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পরিবারের সদস্য, সব নিকটাত্মীয় ও আওলাদে রাসুলেরা আহলে বাইতের অন্তর্ভুক্ত ও বিশেষ মর্যাদার অধিকারী।
আহলে বাইত বিষয়ক আরবি ও উর্দুসহ অন্যান্য ভাষায় অনেক বইপত্র থাকলেও বাংলা ভাষায় এ বিষয়ক তথ্যবহুল ও গবেষণাধর্মী বই খুবই অপ্রতুল। তাই বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সামনে আহলে বাইতের পরিচয়, মর্যাদা এবং ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরার লক্ষ্যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন ড. মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম। এ গ্রন্থে লেখক দীর্ঘ গবেষণা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে রাসূল (সা.)-এর পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়দের উচ্চ মর্যাদা ও ফজিলত তথা গুণ-বৈশিষ্ট্য বিষয়ক বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন। গ্রন্থটি তথ্যবহুল ও গবেষণাধর্মী করার ক্ষেত্রে লেখকের প্রচেষ্টা ছিল সর্বাগ্রে বিবেচ্য।
মাহে রমযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য-রচনা ও সম্পাদনায় মাওলানা জহিরুল ইসলাম
‘মাহে রমযানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য' গ্রন্থটিতে রোযার ইতিহাস, রমযানের বহুমাত্রিক গুরুত্ব ও ফযীলত, রোযাদারের মর্যাদা, রোযার মাসয়ালাসমূহ, সাহরি, ইফতার, কিয়ামুল লাইল, ই'তিকাফ, লাইলাতুল কদরের ইবাদত, সাদকাতুল ফিতর, যাকাত এবং কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফযীলত কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে বিধৃত হয়েছে এ গ্রন্থটিতে। সাধারণ পাঠক, শিক্ষার্থী, ইমাম-খতিব, দায়ী ও সর্বস্তরের পাঠকদের জন্য গ্রন্থটি একটি অতি মূল্যবান তথ্য-ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমরা আশাবাদী, আমাদের সিয়াম সাধনা ও মাহে রমযানের অবশ্যকীয় ইবাদতগুলোকে আরও সুন্দর, সজিব, বরকতময় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, ইনশাআল্লাহ ।
মিস কেস ড্রাফটিং
প্রথম প্রকাশকাল : সর্বশেষ প্রকাশ : মূল্য : ৩৫০ পৃষ্ঠা :
মুসলিম সঙ্গীত চর্চার সোনালী ইতিহাস – এ.জেড.এম. শামসুল আলম
সংস্কৃতি অঙ্গনে সংগীতবিষয়ক একটি অনবদ্য গ্রন্থ। যুগ যুগ ভিত্তিক সংগীত ও সংগীতজ্ঞ সম্পর্কীয় একটি ঐতিহাসিক গবেষণাগ্রন্থ। বাংলা ভাষায় সংগীত চর্চায় সুদীর্ঘ ইতিহাস রচনায় যে অপূর্ণতা রয়েছে, তা পূরণে এ গ্রন্থটি সহায়ক। ইসলামী যুগের শুরু হতে মুসলিম সমাজে সংগীত চর্চার বাস্তব ক্ষেত্র এবং সেসব সমাজে কীরূপ চিত্র ছিল, তারই বিশ্লেষণধর্মী রূপরেখা লেখক এই গ্রন্থে উপস্থাপন করেছেন।
মূর্তি ও ভাস্কর্য বয়ান-প্রতিবয়ান
দীর্ঘকাল ধরে ‘মূর্তি ও ভাস্কর্য’ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলমান। কুরআন-হাদীসে বিষয়টিকে সম্পূর্ণ হারাম বা নাজায়েজ ঘোষণা দেওয়ার পরও গায়ের জোরে কেউ কেউ হারামকে হালাল প্রমাণের দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বর্তমান সময়ে পাশ্চাত্য ধারার ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী একশ্রেণির বুদ্ধিজীবী ইসলামবিরোধী বক্তব্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এ গ্রন্থের মাধ্যমে বিদ্যমান বিতর্কের অবসান ঘটবে।
যুদ্ধের গল্প আগুন ঝরা দিন- আহমদ মতিউর রহমান
‘আগুন ঝরার দিন’ শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধভিক্তিক শিশু-কিশোরদের কাহিনি অবলম্বনে রচিত ৫টি গল্প দিয়ে এই বইটি সাজিয়েছেন। সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে গল্পের কাহিনিগুলো গড়ে উঠেছে। গল্পের প্রধান প্রধান চরিত্র এবং ঘটনাস্থলও বাস্তবানুগ। তবে গল্পের সঙ্গে সংগতি রেখে কিছু চরিত্র সৃজন ও কাহিনি বিন্যাস করা হয়েছে।
যুবসমাজের ধর্মবিমুখতা- এ জেড এম শামসুল আলম
এ গ্রন্থে যুবসমাজের ধর্মবিমুখতার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলো কোনো বিশেষ শ্রেণি বা মতাদর্শীদের বিরুদ্ধে সমালোচনার উদ্দেশ্যে সমালোচনা নয়; বরং অত্যন্ত দরদি মন নিয়ে ইসলামপন্থিদের বিভিন্ন দুর্বলতা, যেসব দুর্বলতা সম্পর্কে সাধারণত আমরা সচেতন নই কিংবা চিন্তা করার অবকাশ পাই না, এক এক করে সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন।
রাসূল (সা.)-এর নিরাপত্ত্বা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কৌশল-লেফ. কর্নেল (অব.)ড. আ. ক. ম. মাকসুদুল হক
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সামরিক পেশাজীবন ৬২২ থেকে ৬৩২ হিজরী অবধি তার জীবনের শেষ দশ বছর স্থায়ী হয়েছিল। শক্তিশালী কুরাইশ গোত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পবিত্র মক্কা নগরী থেকে তাঁকে এবং তাঁর অনুসারীদের বিতারিত করা হয়। তিনি মক্কার কাফেলাগুলোকে বাধা দিতে শুরু করেছিলেন। ৬২৪ হিজরীতে বদর যুদ্ধের প্রথম লড়াইয়ের পরে তাঁর শক্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পায় এবং কূটনিতীক বিজয়ের মাধ্যমে তিনি অন্যান্য গোত্রগুলোকে প্রভাবিক করতে শুরু করেন। ৬৩০ হিজরিতে তিনি মক্কা এবং কারা জয়ের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ৬৩২ সালে তাঁর মৃত্যর সময়ে মুহাম্মাদ সা. আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ অঞ্চলকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। এবং পরবর্তীকালে ইসলাম বিস্তারে মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। লে: কর্নেল ড. এ কে এম মাকসুদুল হক রচিত 'রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কৌশল' বইয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) জীবনে শুধুমাত্র গোয়েন্দা ইস্যুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোকপাত করা হয়েছে। লেখকের আধুনিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ এবং সামরিক জীবনের একটি বড় সময় গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরির অভিজ্ঞতার আলোকে রাসূলুল্লাহর (সা.) গোয়েন্দা কার্যক্রমগুলোকে বিন্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ রাসূলুল্লাহর (সা.) গোয়েন্দা অভিযানসমূহকে আজকের যুগের ধাঁচে আলোচনা করলে দেখা যাবে আধুনিক গোয়েন্দা অভিযানগুলোই রাসূল (সা.) পরিচালনা করেছিলেন সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই। রাসূল (সা.) সফলতার সাথে তাঁর গোয়েন্দা মিশনসমূহ সুসম্পন্ন করতে পেরেছিলেন বলেই ইতিহাসের সবচেয়ে কম রক্তপাতে সর্বকালের সর্বগ্রাসী একটি বিপ্লব সাধন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। উক্ত গ্রন্থে লেখক রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা কৌশলসমূহ যুদ্ধভিত্তিক ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করেছেন। আশা করি বইটি পঠনে পাঠক সমাজ উপকৃত হবেন।
লাল জুলাইয়ের গল্প-সীমান্ত আকরাম
গল্প শুধু গল্প নয়, নিছক কোনো কল্পনা নয়, অলীক কোনো ভাবনা নয়; গল্প ইতিহাস হয়ে ওঠে যখন গল্পের পাটাতন নির্মাণ হয় ইতিহাসের পরম্পরায় ঘটনার প্রেক্ষিতে। জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এমনই একটি নবতর গল্পের পাটাতন; যা বাংলাদেশের ইতিহাসের অনিবার্য অনুষঙ্গ। স্বাধীন বাংলাদেশে আরেক স্বাধীনতার ভিত্তিভূমি। অকল্পনীয় এক ইতিহাসের ভয়ংকর অভিযাত্রার স্বপ্নসারথী । বাংলাদেশের ১৮ কোটি আপামর জনতার মাত্র ৩৬ দিনের টানা আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরশাসনের প্রায় ১৭ বৎসরের দানবীয় শক্তির অবসান, এ যেন স্বপ্নের চেয়েও বেশি। কত দিনের কত আকাঙ্ক্ষা, দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন। যার অগ্রসেনানী ছাত্র-জনতা আর কোমলমতি শিশু-কিশোররা। এ বিপ্লবের সুফলকে সম্ভাবনাময় করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা ছিলো ফ্যাসিবাদ বিরোধী সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মীদের। যার প্রেক্ষিতে নির্মাণ করেছেন তারা বিপ্লবী গান, কবিতা, গল্প, স্লোগান, গ্র্যাফিতি ইত্যাদি। শিল্প-সাহিত্যে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন বয়ান ।
‘লাল জুলাইয়ের গল্প' গ্রন্থে রচিত গল্পগুলোতে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস ফুটে ওঠেছে। জুলাই বিপ্লবের নানা প্রেক্ষাপট, রক্তাত্ত ইতিহাস ও দুঃস্বপ্নের দিনগুলি গল্পের মধ্যে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এ গ্রন্থের গল্পগুলো নতুন প্রজন্মকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভাবতে শিখাবে। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লিঃ থেকে জুলাই বিপ্লবের ইতিহাসকে ধারণ করে রচিত গ্রল্পগ্রন্থ 'লাল জুলাইয়ের গল্প' প্রকাশিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আশা করি গ্রন্থটি পাঠক মহলে সমাদৃত হবে।
শতচ্ছদ- অঞ্জন কুমার সরকার
শতচ্ছদ- অঞ্জন কুমার সরকার