তাফসীর ইবনে কাছীর (১ম খণ্ড)-অনুবাদ মাওলানা মুহাম্মদ মূসা
ইবনে কাছীর (রহ.) ছিলেন একজন মুহাদ্দিস, ফকিহ, মুফাসসির ও ইতিহাসবিদ । তাঁর পুরো নাম আবুল ফিদা হাফিয ইমাদ উদ্দীন ইসমাঈল ইবন আবু হাফস উমার ইবনে কাছীর ইবনে দিয়া আল-কুরায়শী আল-বুসরী আশ-শাফিঈ (রহ.)। তিনি বহু গ্রন্থ প্রণেতা। তাঁর রচিত তাফসীরের জন্য তিনি অধিক প্রসিদ্ধ । আল্লামা ইবনে কাছীর (রহ.) কর্তৃক আল-কুরআনের ব্যাখ্যামূলক গ্রন্থ হিসেবে লিখিত ‘তাফসীর আল-কুরআনিল আজীম' গ্রন্থটিই মুসলিম বিশ্বে ‘তাফসীর ইবনে কাছীর' নামে বহুল পরিচিত। এটি বিশ্বের মুসলমানদের নিকট বিশেষভাবে সমাদৃত তাফসীর । এই তাফসীরকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরা হয় । বর্তমানে এই তাফসীর গ্রন্থটি বিশ্বের একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে; যার মধ্যে বাংলা, ইংরেজি, উর্দু ও হিন্দি প্রধান । বাংলায় মূল গ্রন্থটি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে, যা অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও শিক্ষাবিদ মরহুম অধ্যাপক আখতার ফারূক ।
পরবর্তীতে সৌদি আরব-এর বাদশাহ আবদুল আযীয ইউনিভার্সিটির তাফসীর, শরীয়াহ ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলী আস-সাবূনী উক্ত গ্রন্থটির একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রণয়ন করেন । তিনি উক্ত সংস্করণের ভূমিকায় লিখেছেন, “প্রকাশ থাকে যে, তাফসীর গ্রন্থটি সংক্ষিপ্ত করার অর্থ এই নয় যে, আমরা এর কিছু অংশ অবহেলা করে বাদ দিয়েছি । বরং এর কিছু অংশ বিলোপ করলেও আমরা যা করেছি তা শুধুমাত্র অপ্রয়োজনীয় বিষয়াবলী, যেমন একই বর্ণনার পুনরুল্লেখ, সনদসূত্র সংক্রান্ত দীর্ঘ আলোচনা, দুর্বল বর্নণা এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দেয়া ছাড়াস আর কিছুই নয়। তাফসীরের প্রাণ আগে যেমন ছিল. এখনো শুভ্র উজ্জ্বল পোষাকে দাগহীন সৌন্দর্যে তেমনই আছে।
ত্রয়ী ( নির্বাচিত ৩টি উপন্যাস )- অধ্যাপক শাহেদ আলী
‘কাদা মাটির সাতকাহন’ শুধু নর-নারীর সর্ম্পকের টানাপোড়েন এবং গ্রামীণ অর্থনীতির দ্বান্দ্বিক বাস্তবতাকে নিপুণ কুশলতায় ফুটিয়ে তোলেন। নির্যাতিত এক গ্রামীণ নারীর বোবা আর্তনাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ ঘটেছে হৃদয় নদীর বহমান ধারায়। ঐ দুঃখিনী নারীর মনঃসমীক্ষণকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে উপন্যাস ‘হৃদয় নদী’। দেশের আর্থ-সামাজিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বদলে যাওয়া ব্যক্তিমানসের এক বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস ‘আত্মসমর্পণ।
দু:স্বপ্ন
দু:স্বপ্ন-ড. কামরুল হাসান
দেশে দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার মুসলিম উম্মাহ- লে:কর্নেল ড. একে এম মাকসুদুল, পি এস সি (অব)
২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুসলিম নির্যাতনের যে কাহিনি তার খন্ড চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সত্যিকার অর্থে পশ্চিমা এবং তাদের দোসররা মুসলিম উম্মাহ কে সন্ত্রাসবাদ নির্মুলের নামে নির্যাতন করছে তারই বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তারা সামরাজ্যবাদ করার পায়তারা করছে সন্ত্রাসবাদ নির্মুল করার নামে।
দ্বীনি দাওয়াতের রূপরেখা-এ. জেড. এম. শামসুল আলম
কুরআন-হাদীসে দাওয়াতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান সময়ে এ দায়িত্ব মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিটি অনুসারীর ওপর। এ দায়িত্ব অবহেলা বা উপেক্ষা করার কোনো অবকাশ নেই। পরিবর্তনশীল সময় ও চিন্তাচেতনার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক কালে বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াতী কার্যক্রমের অধিকতর গুরুত্ব এ গ্রন্থে নিহিত রয়েছে।
নন্দিত নক্ষত্র-সীমান্ত আকরাম
নন্দিত নক্ষত্র-সীমান্ত আকরাম
নেলসন ম্যান্ডেলা : কালো মানুষের সাদা মন- মাহবুবুল মাওলা রিপন
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রয়ারি ২০২৪ পৃষ্টা :১২০ মূল্য : ২৪০ নেলসন ম্যান্ডেলা : কালো মানুষের সাদা মন- মাহবুবুল মাওলা রিপন
পঙ্কিলতার অবগাহন-ইকতেদার আহমেদ
মহান আল্লাহ পাক মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব ‘আশরাফুল মাখলুকাত' হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা, বিবেক-বুদ্ধি ও বোধ-বিচারের ক্ষমতা দিয়েছেন। ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা যাচাই করার ক্ষমতা দিয়েছেন । যা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে এ বিষয়গুলো দেননি। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হয়েও ক্রোধ, মোহ, হিংসা, বিদ্বেষ এবং লোভের পাল্লায় পড়ে ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা, সুন্দর- অসুন্দর ও কল্যাণ-অকল্যাণ ইত্যাদি বিশেষসমূহ বিবেচনা করার ক্ষেত্রে বিবেক বিবর্জিত হয়ে পড়ে। অপরাধ, অপকর্ম ও দুর্নীতিতে নিজেকে নিমজ্জিত করে; যা সততা, ন্যায়পরায়ণতা, নৈতিকতা ও নীতিজ্ঞানের আদর্শে পদস্খলন ঘটে। তখন মানুষ সবকিছু ভুলে বেপোরোয়া অপকর্মে নিজেকে নিমগ্ন করেন। একজন মানুষকে পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন যতটুকু অন্যায় ও পাপাচার থেকে বিরত রাখতে পারে, একটি দেশের আইন-বিচারব্যবস্থা কখনো তারচেয়ে অধিক অবদান রাখতে পারে না।
বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সমাজচিন্তাবিদ ও সাবেক জজ ইকতেদার আহমেদ ‘পঙ্কিলতার অবগাহন' গ্রন্থে সমাজের এ সকল নানা অসঙ্গতি গুলো আলোকপাত করেছেন। পাশাপাশি তিনি এ সকল বিষয় থেকে মানুষ নিজেকে পুতপবিত্র করে পরিশুদ্ধ জীবনের মাধ্যমে ইহকাল এবং পরকালের প্রশান্তি লাভ করতে পারে তা তিনি এ গ্রন্থে বিষদভাবে আলোকপাত করেছেন। লেখক আরো দেখিয়েছেন যারা সত্য ও ন্যায়ের প্রতি অনুরক্ত তারাই কষ্টসাধ্য জীবন-যাপন করলেও ইহজগতে সুখ-শান্তির ছায়াতলে থাকেন এবং পরকালীন জীবন কল্যাণকর, মঙ্গলময় ও সুখকর হয়; এ বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন।
প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ :খণ্ড খণ্ড কথা -মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বীর প্রতীক
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম একজন রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক। জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত কলামগুলোর মধ্যে থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখাগুলো নিয়ে ‘প্রসঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ : খন্ড খন্ড কথা‘ বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের দলিলাদিসহ জানা-অজানা নানান বিষয়ের বীরত্বগাথা ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক।
ফিলিস্তিনে মানবতার কান্না- অধ্যাপক মো: ছফিউল্লাহ মাহমুদী
১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনিরা তাদের দেশটির ৯৪ শতাংশের মালিক ছিলো। আর জনসংখ্যা ছিল ৬৭ শতাংশ। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট অথবা আদেশপত্র শেষ হওয়ার আগেই ইহুদি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণে ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রাম ধ্বংস করতে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি গ্রাম শহর ধ্বংস করা হয়েছিল। এই গণহত্যায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। ইহুদিরা সে সময় ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ দখল করেছিল। আর অবশিষ্ট ২২ শতাংশ বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা।
ফিলিস্তিন তার জন্মভূমি পুনরুদ্ধারের অধিকার ও মুসলিম উম্মাহ'র প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা রক্ষার জন্য ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। গত বছর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। যার ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন! তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। গাজার ২০ লক্ষের বেশি মানুষ আজ উদ্বাস্তু। এখনো মানবতার চরম বিপর্যয় ঘটিয়ে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল, যা বর্বরতার অবিস্মরণীয় নজির। বিশ্ববিবেক আজ অন্ধ । স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এই বর্বরতার শেষ কোথায়? এভাবেই কি মানবতা বিপন্ন হতে থাকবে? ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের এমন সব অজানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে অধ্যাপক মোঃ ছফিউল্লাহ মাহমুদী রচিত 'ফিলিপ্তিনে মানবতার কান্না' বইয়ে।
ফেরারী বসন্ত- খোন্দকার মাহ্ফুজুল হক
ফেরারী বসন্ত- খোন্দকার মাহ্ফুজুল হক
বুদ্ধির ফসল আত্নার আশিষ- অধ্যাপক শাহেদ আলী
শাহেদ আলীর প্রবন্ধসমগ্র ‘বুদ্ধির ফসল আত্মার আশিস’ একটি নিরেট ইসলামী বিশ্বাস ও আদর্শের মূর্তপ্রতীক। তিনি বিশ্বাস করতেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ও সামগ্রিক জীবনব্যবস্থা এবং মানুষের জীবনের এমন কোনো দিক নেই, যা ইসলামের এখতিয়ারভুক্ত নয়। সেই নিরিখে তাঁর সাহিত্য, শিল্প, সমাজ, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ের রচনায়ও তাঁর বিশ্বাস ও জীবনদর্শনের ছাপ সুস্পষ্ট।